অন্তর্দীপন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন

Antardipan Voluntary Social Organisation

**** দান করুন মানবতার কল্যাণে, আলোকিত করতে সমাজকে। রকেট:01916000193-5;নগদ: 01916000193 বিকাশ :01914652494 ****

ঢেঁড়স আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন একটি সবজি। শত রকমের সবজির মধ্যে ঢেঁড়স এমন একটি সবজি যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ঢেঁড়স ভাজি, ঢেঁড়সের তরকারি প্রায় সবাই পছন্দ করেন। ঢেঁড়স অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন, এটি আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে। ঢেঁড়সে রয়েছে সলিউবল ফাইবার পেকটিন যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে। ঢেঁড়সের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করে। চলুন তাহলে জেনে নিই নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর ঢেঁড়স এর উপকারিতা সম্পর্কে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ঢেঁড়স:-ঢেঁড়সের মধ্যে থাকা উপকারী ফাইবার দেহের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে রাখে। তাই ডায়াবেটিস কমাতে ঢেঁড়স অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি।

ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ঢেঁড়স রাখা উচিত।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:-ঢেঁড়সের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া আরো অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ থাকে যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।রক্তশূন্যতা রোধ করে:-ঢেঁড়সের আয়রন ও ভিটামিন কে দেহে রক্ত জমাট সমস্যা রোধ করে, দেহে প্রয়োজনীয় লাল প্লেটলেট তৈরি করে এবং দেহের দুর্বলতা রোধ করে থাকে। তাই রক্তশূন্যতার সমস্যায় বেশি করে ঢেঁড়স খাওয়া ভালো।ওজন কমাতে সহায়ক:-ঢেঁড়সে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম তাই এটি ওজন কমানোর ডায়েট মেন্যুতে রাখতে পারেন। ঢেঁড়সের ফাইবার ক্যালরি ছাড়াই পেট ভরা রাখে, তাই ক্যালরি বহুল খাবার থেকে বিরত থাকা যায়।চুলের যত্নে:-ঢেঁড়স চুলের জন্য খুব উপকারী, এটি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে, খুশকি ও উকুন রোধ করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও ঢেঁড়স ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল কমায়:-ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন যা দেহ থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে।হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:-ঢেঁড়সে রয়েছে অধিক পরিমাণ আঁশ এবং পেকটিন যা হজমে সাহায্য করে। পেকটিন অন্ত্রের স্ফীতিভাব কমায় এবং অন্ত্র থেকে বর্জ্য সহজে পরিষ্কার করে। তাছাড়া ঢেঁড়সের ফাইবার বা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং সহজে হজম হয় বলে বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে।শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে:-ঢেঁড়স হাঁপানী রোগে খুব উপকারী। ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। প্রাচীন হারবাল চিকিৎসায় হাঁপানি রোগ সারাতে ঢেঁড়সকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহারা করা হত।দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে:-ঢেঁড়সে বিদ্যমান ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন এবং লিউটিন চোখের গ্লুকোমা এবং চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।এছাড়াও ঢেঁড়স হাড়কে মজবুত রাখে। দাঁত ও মাড়ির রোগেও ঢেঁড়স উপকারী। ঢেঁড়সের নানা ধরণের উপাদান আমাদের ত্বকের সমস্যা ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে কাজে আসে। ঢেঁড়স গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরিতে সাহায্য করে, মিসক্যারেজ হওয়া প্রতিরোধ করে। তাই সুস্থ থাকতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *