অন্তর্দীপন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন

Antardipan Voluntary Social Organisation

**** দান করুন মানবতার কল্যাণে, আলোকিত করতে সমাজকে। রকেট:01916000193-5;নগদ: 01916000193 বিকাশ :01914652494 ****

মানব জাতির কল্যাণে আল্লাহর দ্বীনকে টিকিয়ে রাখার মূল পথ বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞানের প্রসার। প্রতিটি মুমিনের জন্য ফরজ প্রয়োজনীয় দ্বীনী জ্ঞান নিজে শিক্ষা করা এবং সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া। ইসলামী ধর্মতত্ত্বের গভীর জ্ঞান সম্পন্ন আলিম হওয়া আল্লাহর নৈকট্য ও মুক্তি লাভের অন্যতম পথ। সমাজে যথেষ্ট সংখ্যক প্রজ্ঞা আলিম তৈরি করা সমাজের সকলের জন্য ফরজ কিফায়া, যেমন পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার তৈরি করা ফরয কিফায়া। পার্থক্য হল, পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকলে মানুষের জাগতিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর পর্যাপ্ত আলিম না থাকলে মানুষের জাগতিক ও পারোলৌকিক উভয় জীবনী ধ্বংস হয়।

যদিও সকলেই স্বীকার করতে বাধ্য যে, ধর্ম – যুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় সমাজ থেকে এইডস, মাদকতা, সহিংসতা, সন্ত্রাস, এসিড, ঘুষ-দুর্নীতি ইত্যাদি দূর করতে পারে, তবুও দ্বীনি শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে অনেকাংশে অবহেলিত।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা গুলি ” ধর্ম – মুক্ত” শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য সকল প্রকার সাহায্য ও অনুদান দিতে প্রস্তুত, কিন্তু ” ধর্ম – যুক্ত” শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কোনরূপ অনুদান দিতে তারা রাজি নন। উপরস্তু ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থা সংকোচনের বহুমুখী প্রচেষ্টা বিদ্যমান।


এই পরিস্থিতিতে দ্বীনি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য উশরের অর্থব্যয় নিঃসন্দেহে “আল্লাহর রাস্তায়” ব্যয় এর মধ্যে গণ্য‌। অন্যান্য খাতের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় উশর ব্যয়ের অন্যতম খাত মাদ্রাসা বা দ্বীন শিক্ষা। যে সকল মাদ্রাসা বা ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র যাকাত – উশর সংগ্রহ ও শরীয়ত নির্দেশিত ভাবে সঠিক বন্টন ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে উশর প্রদান করতে হবে। দ্বীনি শিক্ষা – প্রতিষ্ঠানগুলির অভাবী ছাত্ররা যেন উশরের ফল-ফসল বা অর্থ থেকে তাদের খাদ্য, আবাসন, শিক্ষা ও অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করতে পারে সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।


যাকাত এবং সকল দানের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি হলো এর উপকার যত ব্যাপক হবে সাওয়াব ও ততো বেশি হবে। যেমন যে কোন মুসলিম দরিদ্রকে উশর প্রদান করা যাবে। তবে একজন দরিদ্র তালিব – ইলম, ছাত্র বা আলিমকে উশর প্রদান করলে তিনি একদিকে দরিদ্র ব্যক্তি হিসেবে অন্য যে কোন ব্যক্তির ন্যায় উপকৃত হবেন, উপরস্তু এ সাহায্য তাকে অধিকতর ইলম চর্চা ও প্রসারের সুযোগ দেবে, যা উক্ত যাকাত দ্বারা অর্জিত অতিরিক্ত উপকার। এজন্য যাকাতদাতার ও সাওয়াব বৃদ্ধি পাবে। উশর প্রদানের সময় এ মূলনীতির দিকে লক্ষ রাখা দরকার যেন আমাদের উশর শুধুই ব্যক্তিগত আর্থিক সাহায্য না হয়ে অধিক কিছু কল্যাণে পরোক্ষভাবে হলেও অবদান রাখে।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ( রাহিমাহুল্লাহ) , বাংলাদেশে উশর বা ফসলের যাকাত গুরুত্ব ও প্রয়োগ (পৃষ্ঠা ২২৯-২৩০)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *